মামুনুল হকের মুক্তি কারাগার থেকে

মাওলানা মামুনুল হকের মুক্তির খবর পেয়ে কাশিমপুর কারাগারে ভিড় জমিয়েছে তার অনুসারীরা। তিনি হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ন মহাসচিব। গতকাল তার জামিনের খবর পেয়ে এই ভিড় সৃষ্টি হয়। সেই খবর পেয়ে তার অনুসারীরা গাজীপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে ভিড় জমায়।

বৃহস্পতিবার তিনি জামিনে মুক্তি পাবেন এমন খবর পেয়ে গতকাল সন্ধ্যার পর থেকেই এই ভিড় জমতে শুরু করে। তবে মামুনুল হক কারাগার থেকে মুক্তি পাবেন কিনা সে বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোন নিশ্চিত তথ্য পাওয়া যায়নি।

কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের দায়িত্বরত পুলিশ সুপার সুব্রত কুমার সাংবাদিকদের কে জানিয়েছেন, মাওলানা মামুনুল হক অনেকদিন ধরেই এখানকার কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী রয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার তার জামিনের কাগজপত্র গুলি এখানে এসে পৌঁছায়। তবে মামুনুল হকের মুক্তির ব্যাপারে তিনি নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারেননি। কবে বা কখন তাকে মুক্তি দেওয়া হবে সেটি জানা যায়নি। তার জামিনের কাগজপত্র গুলি যাচাই-বাছাই চলছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের রিসোর্টে একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে মামুনুল হককে জেল হাজতে পাঠানো হয়। উক্ত রিসোর্টে এক নারীর সাথে হেফাজতে নেতা মামুনুল হককে আটক করে আওয়ামী লীগের কিছু নেতাকর্মীরা। তারপর মামুনুল হকের অনুসারীরা সেখানে গিয়ে হট্টগোল শুরু করেন। ঘটনার কিছুদিন পর ১৮ এপ্রিল ২০২১ তারিখে মোহাম্মদপুরের একটি মাদ্রাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

মামুনুল হকের মুক্তি কারাগার থেকে

মাওলানা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ ছিল রিসোর্টে থাকা মহিলার সাথে তার অবৈধ সম্পর্ক ছিল এবং তার বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনের ধর্ষণের মামলা করা হয়। যদিও মামুনুল হক তাকে দ্বিতীয় স্ত্রী বলে দাবি করেন। তাছাড়া তার বিরুদ্ধে আরো অর্থ শতাধিক মামলা রয়েছে দেশজুড়ে। সব অভিযোগের প্রেক্ষিতেই থাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তারপর থেকে এসব মামলায় তিনি কারাগারে অবস্থান করছেন।

মাওলানা মামুনুল হকের মুক্তির ব্যাপারে এর আগে ১১ই মার্চ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর সাথে বৈঠক করেন হেফাজতের নেতা কর্মীরা। সেই বৈঠকে ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল ইসলাম খানসহ আরো অন্যান্য উচ্চ পদে কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকটি শেষে হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব মাওলানা সাজিদুর রহমান সাংবাদিকদের কাছে বলেন, আমাদের মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাওলানা মামুনুল হকের মুক্তির ব্যাপারে আশ্বাস দিয়েছেন। অবশেষে তার জামিনের কাগজ গাজীপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে পৌঁছালেও তার মুক্তির কোন খবর এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *