তীব্র গরম ও তাপদাহ উপলক্ষে ছুটি শেষে আগামী ২৮ এপ্রিল থেকে স্কুল এবং কলেজ খোলা হবে। এ ব্যাপারে সব রকমের প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তাছাড়া মে মাসের ৪ তারিখ হতে শনিবারেও খোলা থাকবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
আজ বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই সাথে আরো বলা হয়েছে বাংলাদেশের চলমান তাপমাত্রা সর্বোচ্চ তাপমাত্রা নয়। তাছাড়া দেশের সব এলাকায় তীব্র তাপদেহ বা গরম নেই। সকল বিষয়কে বিবেচনা করে আগামী ২৮ শে এপ্রিল থেকে ক্লাস চালু হবে এবং শনিবারেও খোলা থাকবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
এই বছর রমজান মাসে স্কুল খোলা ছিল। যে বিষয়টি নিয়ে এত আলোচনা হয়েছে যে আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। সে সময় জনগণের এই বিতর্ক এড়াতে শনিবার স্কুল খোলা রাখার ব্যাপারে বলেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। ২৬ শে মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে তিনি এই কথাটি বলেন।
মাননীয় শিক্ষা মন্ত্রী এসে কথাটি কার্যকর হতে যাচ্ছে। ২৮ এপ্রিল রবিবার থেকে স্কুল খোলা হলে ৪ এপ্রিল থেকে শনিবারেও খোলা থাকবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো।
শনিবারেও খোলা থাকবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
আমরা জানি সারা দেশের উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপদাহ। প্রচন্ড তাপদাহে হিট স্ট্রোকে মারা যাচ্ছে মানুষ। সেই সাথে লক্ষ লক্ষ মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তাই আমাদের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে বেশ কিছুদিন স্কুল বন্ধ রাখা সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়েছিল। তাপমাত্রা কমার সাপেক্ষে স্কুল খোলার কথা বলা হয়েছিল। কারণ স্কুল গুলোতে প্রচন্ড গরমে বাচ্চাদের শারীরিক অসুস্থতা বাড়তে পারে।
অবশেষে বেশ কিছুদিন বন্ধ থাকার পরে স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এদিকে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে এপ্রিল মাসে তাপমাত্রা কমার তেমন কোনো সম্ভাবনা নেই। সেই সাথে শনিবারেও খোলা থাকবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
তবে স্কুল খোলা হলেও এর মধ্যে থাকতে বেশ কিছু শর্ত। তীব্র রোদে অ্যাসেম্বলি বা শারীরিক ক্লাস গুলো করানো যাবে না। তাছাড়া যদি কোন শিশু তীব্র তাপদাহে ক্লাসে উপস্থিত হতে না পারে তাহলে তাকে অনুপস্থিত দেখানো যাবে না। সাধারণত ছোট্ট শিশুদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা চিন্তা করেই এই সিদ্ধান্ত গুলি দেওয়া হয়েছে।
এদিকে সাত দিনের হিট এলার্ট শেষে সারাদেশে আবারো তিন দিনের হিট এলার্ট জারি করা হয়েছে। তাই আবহাওয়া পরিবর্তন সাপেক্ষে ফুল খোলার তারিখ পরিবর্তিত হতে পারে বলে জানিয়েছে প্রাথমিক এবং গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।