আজকে থেকে জ্বালানির তেলের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। বার্ষিক দাম সমন্বয়ের পার্ট হিসেবে ২ দফায় জ্বালানি তেলের দাম কমার পর সেটি পুনরায় বৃদ্ধি করা হয়েছে। এক্ষেত্রে লিটার প্রতি সর্বোচ্চ আড়াই টাকা করে বৃদ্ধি পেয়েছে। শুধুমাত্র চার ধরনের তেলের ক্ষেত্রে এই বাড়তি দাম কার্যকর হবে।
গতকাল মঙ্গলবার ডিজেল, কেরোসিন, পেট্রোল ও অকটেনের দাম বৃদ্ধি করে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। যে দামটি আজ পহেলা মে হতে কার্যকর হয়েছে।
খনিজ সম্পদ বিভাগের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, ডিজেল ও কেরোসিনের মূল্য লিটার প্রতি ১০৬ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ১০৭ টাকা করা হয়েছে। পেট্রোলের দাম লিটার প্রতি ১২২ টাকা থেকে আড়াই টাকা বাড়িয়ে ১২৪ টাকা ৫০ পয়সা করা হয়েছে। অকটেনের দাম লিটার প্রতি ১২৬ টাকা থেকে আড়াই টাকা বাড়িয়ে ১২৮ টাকা ৫০ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সরকার মার্চ মাস থেকে বিশ্ববাজারের সাথে সমন্বয় রক্ষা করে প্রতি মাসে জ্বালানি তেলের মূল্য সমন্বয় করছে। নতুন দাম আজ ২ মে থেকে কার্যকর হবে। এর আগে জ্বালানি তেলের প্রাইসিং সমন্বয় করতে গিয়ে লিটার প্রতি ৭৫ পয়সা থেকে ৪ টাকা পর্যন্ত হ্রাস পেয়েছিল। বিশ্ব বাজারের সাথে সমন্বয় রক্ষা করতে গিয়ে জ্বালানী তেলেে দাম মে মাসের জন্য বৃদ্ধি করা হয়েছে।
জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি পেলো
এছাড়া বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের তথ্য অনুযায়ী, সারাদেশে ব্যবহৃত মোট জ্বালানির তেলের ৭৩.১১ শতাংশই হচ্ছে ডিজেল। পেট্রোল ব্যবহার করা হয় ৫.৮৬ শতাংশ। সেই সাথে অপটিনের চাহিদা রয়েছে ৪.৭৮ শতাংশ।
সেই সাথে সারাদেশে মোট জ্বালানি তেলের চাহিদা রয়েছে ৭০ থেকে ৭২ লক্ষ টন। যার ৮০ শতাংশ এই বাংলাদেশ সরকার আমদানি করে। বর্তমানে বাংলাদেশ সরকার সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে তেল আমদানি করছে। এ সকল তেল মূলত অপরিশোধিত। তাছাড়া জ্বলানী তেলের আরো কিছু অংশ সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, কুয়েত, থাইল্যান্ড ও ভারত হতে বাংলাদেশে আমদানি করা হচ্ছে। এই দেশগুলো থেকে মূলত পরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি করা হয়।
বাংলাদেশে অকটেন ও পেট্রোলার ব্যবহার সবচাইতে বেশি হয় গাড়ি এবং মোটরসাইকেলে। আর বাস, ট্রাক কিংবা নৌযান গুলোতে ডিজেল ব্যবহার করা হয়। গ্রামাঞ্চলের সেচ পামগুলোতেও ব্যাপকভাবে ডিজেলের ব্যবহার রয়েছে।
এর আগে জ্বালানি তেলের দাম হ্রাস পাওয়ায় গাড়ি ভাড়ায কিছুটা কমেছিল। মে মাসে নতুন দাম কার্যকর হওয়ার সাথে সাথে গাড়ি ভাড়া হয়তো কিছুটা বাড়তে পারে।