পুনরায় নৌবাহিনীতে ফিরে গেলেন র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার ডিরেক্টর কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। ১৮ই এপ্রিল বৃহস্পতিবার তিনি এই দায়িত্ব হস্তান্তর করেন এবং নৌবাহিনীতে যোগদানের উদ্দেশ্যে চট্টগ্রাম রওনা দেন।
বাহিনীর সহকারী পরিচালক ইমরান খান মিডিয়াকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে খন্দকার আল মঈনের পরিবর্তে নতুন কাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হয়নি।
বিগত তিন বছর ধরে খন্দকার আল মঈন র্যাবের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। বিদায় নেওয়ার সময় তিনি গণমাধ্যম কর্মীদের সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। সেই সাথে তাদেরকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন তিনি।
খন্দকার আল মঈন বাংলাদেশ নৌবাহিনীর একজন গর্বিত কমান্ডার। তিনি ৪৫ তম ব্যাচে বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে কমিশন লাভ করেন। ২০২১ সালের মার্চ মাসে তিনি আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক হিসেবে র্যাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। দীর্ঘ তিন বছর তিনি এ শাখায় কাজ করেছেন।
যারা নিয়মিত খবর দেখেন তারা অবশ্যই খন্দকার আল মঈনকে চিনে থাকবেন। অপরাধ বিষয়ক বিভিন্ন প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তাকে আমরা নিয়মিতই দেখেছি। এখন তিনি পুনরায় নৌবাহিনীতে যোগদান করছেন।
র্যাপিড একশন ব্যাটালিয়নের সকল প্রকার আইনগত বিষয়ে পর্যবেক্ষণ ও মিডিয়াগত বিষয়গুলো দেখাশোনার জন্য কাজ করে লিগাল এন্ড মিডিয়া উইং। সেই সাথে স্বচ্ছতা জবাবদিহিতা এবং মানবাধিকার বিষয়গুলো দেখাশোনা করে এই উইংটি।
কমান্ডার খন্দকার আল মঈন গেলেন নৌবাহিনীতে
তাছাড়া র্যাবের সকল প্রকার সফল অপারেশনগুলো জনগণের সামনে তুলে ধরার কাজও করা হয় এই অংশটির মাধ্যমে। এর মাধ্যমে র্যাব এবং জনগণের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি হয়। র্যাবের কার্যক্রম সম্পর্কেও জনগণ ভালো ধারণা পায়। নৌবাহিনী এর কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এই মিডিয়া উইংএর মুখপাত্র ছিলেন।
কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এর আগে র্যাবের এই পদের দায়িত্ব ছিলেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ। কমান্ডার খন্দকার আল মঈন নৌবাহিনীর বিভিন্ন ছোট এবং মাঝারি সাইজের জাহাজের অধিনায়ক ছিলেন। তিনি নৌবাহিনীর নৌ গোয়েন্দা পরিদপ্তরেও কাজ করেছেন। এছাড়াও তিনি জাতিসংঘ মিশনের সুদানে সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন।
৮ হাজার মুক্তিযোদ্ধার ভূয়া সনদপত্র বাতিল
কমান্ডার খন্দকার আল মঈন দেশ ও বিদেশে নৌ বাহিনীর বিভিন্ন অত্যাধুনিক প্রযুক্তির উপরে প্রশিক্ষণ লাভ করেছেন। র্যাবে থাকাকালীন তিনি বিভিন্ন নতুন নতুন প্রযুক্তি বাহিনীর সাথে যুক্ত করেন। যে প্রযুক্তিগুলোর সাহায্যে অতি দ্রুত অপরাধীদেরকে শনাক্ত করা যায়। যার ফলে মাঠ পর্যায়ে বিভিন্ন অভিযানের সফলতার হারও বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি এর আগে র্যাবের সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখার উপ-পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। অবশেষে সফলভাবে দায়িত্ব পালন শেষে কমান্ডার খন্দকার আল-মইন নৌবাহিনীতে ফিরে যাচ্ছেন