জলবায়ু পরিবর্তনের অগ্রগতি

বৈশ্বিক উষ্ণতা ও জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে তাপমাত্রা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এটি এতদিনে আমরা সবাই ভালোভাবে অনুধাবন করতে পেরেছি। কিন্তু জলবায়ুকে আরো বেশি বসবাসের উপযোগী করার জন্য আমরা কি কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পেরেছি? এ ব্যাপারে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ক্লাইমেট ডেভেলপমেন্ট পার্টনারশিপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য পেশ করেন। যেটি অনুষ্ঠিত হয় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এবং সাথে আরো ছিল ন্যাপ এক্সপো।

তিনি যুদ্ধে অর্থ ব্যয় না করে বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের উদ্দেশ্যে অর্থ ব্যয়ের আহবান জানিয়েছেন। তিনি আরো বলেন, যুদ্ধ কিংবা অস্ত্রের জন্য অর্থ ব্যয় না করে সেই অর্থগুলি যদি আমরা জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য ব্যয় করি তাহলে পৃথিবীটি রক্ষা পেতো। সেই সাথে আমরা পরবর্তী প্রজন্মের জন্য সুন্দর পৃথিবী গড়ে তুলতে পারতাম।

সম্মেলনে তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে আমরা, জীবাশ্ম জ্বালানি গুলোর ব্যবহার কমিয়ে এনে নবায়নযোগ্য জ্বালানিগুলোর ব্যবহার বাড়িয়ে দিচ্ছি। এতে করে পরিবেশে কার্বন-মনোক্সাইড বা গ্রীনহাউস গ্যাসের পরিমাণ হ্রাস পাবে। তাছাড়া এখন পর্যন্ত প্রায় আমরা ৬০ লাখের বেশি সোলার হোম সিস্টেম স্থাপন করেছে। বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলে ৪৫ লাখেরও বেশি উন্নত চুলা সাধারণ জনগণের মধ্যে বিতরণ করেছে। এতে করে পরিবেশে ক্ষতিকারক গ্রিনহাউস গ্যাসের পরিমাণ হ্রাস পাবে।

জলবায়ু পরিবর্তনের অগ্রগতি

এসম্মেলনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বেশ কয়েকটি প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেন। এর মধ্যেও রয়েছে, যে সকল দেশ অধিক পরিমাণে কার্বন ডাই অক্সাইড নিঃসরণ করে সেই দেশগুলোতে তাপমাত্রা বৃদ্ধি ঠেকাতে ও গ্যাস নিঃসরণে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া। তাছাড়া পৃথিবীর উন্নত দেশগুলো জলবায়ুত্ববেড়ে বার্ষিক ১০০ বিলিয়ন ডলার দিয়ে জলবায়ু পরিবর্তনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করা।

শুধুমাত্র পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোয় নয় পাশাপাশি উন্নয়নশীল দেশগুলোকেও এ ব্যাপারে এগিয়ে আসতে হবে। প্রযুক্তিগত ব্যবহারের পাশাপাশি কিভাবে জ্বালানি সমাধান করা যায় সে ব্যাপারে ভাবতে হবে।

জলবায়ু পরিবর্তন অবশ্যই উষ্ণতা বৃদ্ধির ফলে শুধু তাপমাত্রা যে বাড়ছে তা নয়। সেই সাথে ভূপৃষ্ঠে পানির স্তর নিচে নেমে যাচ্ছে, ক্ষতি হচ্ছে বিভিন্ন ফসলি জমি এবং মৌসুমী ফলের। পৃথিবীর মানুষ স্বাস্থ্যগত সমস্যায় ভুগছে। এই সমস্যা যেমন আমাদের একার তেমনি এটি আমাদের একার পক্ষে সমাধান করা সম্ভব না। জলবায়ু পরিবর্তনের যাত্রায় সবাইকে সমান ভাবে এগিয়ে আসতে হবে।

বন ও গাছপালা নিধন কমাতে হবে। বেশি বেশি করে গাছ রোপন করতে হবে। সেই সাথে বিভিন্ন রকম প্লাস্টিক ও বলেছেন বজ্র পদার্থ সঠিকভাবে নিষ্কাশন করতে হবে। তাহলেই বাঁচবে পৃথিবী এবং বাঁচবো আমরা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *