এইতো কিছুদিন আগেও ব্রয়লার মুরগির দাম আকাশচুম্বী হয়েছিল। রমজান এবং ঈদুল ফিতর উপলক্ষে এর দাম কেজিপ্রতি ২৬০ টাকা পর্যন্ত হয়েছিল। কিন্তু সম্প্রতি এর দাম রীতিমতো হ্রাস পাচ্ছে। প্রথমে ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজিতে দাম ২০-৩০ টাকা কমে ২৩০ থেকে ৪০ টাকা হয়েছিল। আর এক ধাপে দাম কমে বাজারে এখন ২০০ থেকে ২১০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। তবে সোনালী ও দেশি মুরগির দাম কেজিপ্রতি বেড়েছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা।
ব্রয়লার মুরগির দামের পাশাপাশি সবজির বাজারেও কিছুটা দাম কম পরিলক্ষিত করা যায়। মোটামুটি সকল ধরনের সবজি ৪০ থেকে ৬০ টাকা প্রতি কেজিতে কেনা যাচ্ছে। তবে চালের বাজারে কোন দামের রাজভিত্তিক ঘটেনি। ঢাকার কারওয়ান বাজার, গুলশান, বসুন্ধরা গেটে বাজারগুলোতে এরকম দাম পরিলক্ষিত হচ্ছে।
এদিকে ব্রয়লার মুরগির ব্যবসায়ীরা বলেছেন, অতিরিক্ত দামের কারণে ক্রেতারা মুরগি কেনার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন। এর কারণে কিছুটা দাম কমাতে বাধ্য হয়েছে তারা। তবে ব্রয়লার মুরগির দাম কমলেও গরুর মাংসের দাম আগের মতই রয়েছে। ছাগলের মাংসের দাম কেজিপ্রতি ১০০০ হাজার টাকা। ঈদুল ফিতরে যেরকম অতিরিক্ত দামে বিক্রি হয়েছে এখনো সেই দাম বহাল রয়েছে।
ব্রয়লার মুরগির দাম
অনেকে আবার মনে করছেন, তীব্র গরমের কারণে মুরগিগুলো মরে যাওয়ার একটা আশঙ্কা থাকে। তাই বিক্রি বাড়ানোর জন্য তারা কম দামে বিক্রি করেছেন। সারা দেশ জোরে বইছে তীব্র তাপপ্রবাহ। এ ধরনের তার প্রবাহের সাধারণত ব্রয়লার মুরগিগুলো হিট স্ট্রোক করে। তাই অধিক পরিমাণে ক্ষয়ক্ষতি যাতে না হয় তার জন্য কম দামেই বিক্রি করা হচ্ছে।
এছাড়া অন্যান্য উপকরণ যেমন রসুনের দাম কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। কেজিপ্রতি রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৮০ টাকা। কিছুদিন আগেও যেটা ছিল ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজি। পেঁয়াজের দাম কেজির প্রতি ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা। সয়াবিন তেলের দামও বেড়েছে কেজিপ্রতি ৪ থেকে ৫ টাকা।
এদিকে তীব্রতা প্রবাহের জন্য ব্রয়লার মুরগির বিক্রেতারাই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তা নয়, সবজির উপরেও পড়ছে এর বিশেষ প্রভাব। থেকে উঠানোর আগেই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে সবজি। তাছাড়া তীব্র গরমে জমিতে পানি থাকছে না। যার কারণে অতিরিক্ত কৃত্রিম সেচ ব্যবহার করায় উৎপাদন খরচ বেড়ে যাচ্ছে। সেই সাথে বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে সবজির দাম।