পিউ কর্মকার আত্মাহত্যার কারণ

২০ বছর বয়সে তরুণী পিউ কর্মকার নদীতে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তার আত্মহত্যার কারণ হলো বারবার ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স না পাওয়া। গত ৩০শে এপ্রিল রাজবাড়ী জেলার মিজানপুর ইউনিয়নের গোদার বাজার পদ্মা নদীতে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন পিউ কর্মকার।

পিউ কর্মকার রাজবাড়ী জেলার সরকারি কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এইচএসসি পরীক্ষা পাস করেন। বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির উদ্দেশ্যে তিনি বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয় এবং গুচ্ছ কলেজগুলোতে ভর্তি পরীক্ষা দেন। পাবলিক পরীক্ষায় চান্স না পেয়ে তিনি গুচ্ছ কলেজগুলোতেও অংশগ্রহণ করেন। কিন্তু তাতেও পিউ কর্মকার ব্যর্থ হয়।

সেই আক্ষেপে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে আত্মহত্যা করে পিউ কর্মকার। পদ্মা নদীতে আত্মহত্যার উদ্দেশ্যে ঝাপ দেওয়ার পরে তাকে উদ্ধার করে রাজবাড়ী সদর উপজেলার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। পিউ কর্মকারের বাবা কৃষ্ণপদ কর্মকার রাজবাড়ী জেলার বিনোদপুর গ্রামে বাস করেন।

আত্মহত্যার আগে ফেসবুক স্ট্যাটাসে নিজের আক্ষেপের কথা লিখেন। যার সারমর্ম হলো, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের চান্স না পেয়ে গুচ্ছ তার শেষ ভরসা ছিল। কিন্তু সেই আশাটিও পূরণ হয়নি। পরীক্ষা মোটামুটি ভালই হয়েছিল তার। পরীক্ষার উত্তরপত্রে বাংলার পরিবর্তে ভুল করে বায়োলজি আর ইংরেজির বৃত্ত ভরাট করে তিনি। পরবর্তীতে বাসায় এসে সেটি খেয়াল করলে আরো বেশি হতাশ হয়ে পড়েন। মা-বাবাকে নিয়ে তার অনেক স্বপ্ন ছিল কিন্তু সেটি আর পূরণ হয়নি।

পিউ কর্মকার আত্মাহত্যার কারণ

এসব ছাড়াও তিনি তার সুইসাইড নোটে নিজের পরিবার, বন্ধুবান্ধ ও আত্মীয় স্বজনদের নিয়ে বেশ কিছু কথা প্রকাশ করেন। তরুণীটি লিখেন, আমার বাবার ফিনান্সিয়াল প্রবলেম থাকায় ঢাকা গিয়ে পড়তে হবে এ ব্যাপারে অনেকেই আমাকে কথা শুনেছে। আমি সব সময় ঘরের মধ্যে একা বসে থাকি। মানুষের তো কত ভালো ভালো বন্ধু থাকে। কিন্তু আমি আমার বিপদের সময় কাউকে পাশে পাইনি। আমার সবথেকে বেস্ট ফ্রেন্ড কেউ আমার পাশে পাই নাই। আমাকে মানসিকভাবে সাপোর্ট করার জন্য কেউ থাকলে হয়তো আমার মৃত্যুটা হতো না।

মিল্টন সমাদ্দার গ্রেফতার

পিউ কর্মকারের কয়েকজন সহপাঠে জানান, এইচএসসি পরীক্ষার পর পিউ কর্মকার পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে চান্স পাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল। কিন্তু হতাশা জনক ভাবে কোথাও তার চান্স হয়নি। সেই কারণে সে মানসিকভাবে প্রচন্ড ভেঙে পড়েছিল। কিন্তু সেই বিষয়টি এত দূর পর্যন্ত গড়াবে সেটি আমরা কখনো ভাবতে পারিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *