সারাদেশে বইছে তীব্র তাপ প্রবাহ। গতকাল রবিবার এই তীব্র তাপে সর্বোচ্চ ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে একদিনে হিট স্ট্রোকে এটি সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড। এদিকে গতকাল বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে পুনরায় সারাদেশে হিট এলার্ট জারি করা হয়েছে। আগামী ৩ দিন এই হিট এলার্ট জারি থাকবে। এর আগে হিট এলার্ট কে কেন্দ্র করে স্কুল কলেজ গুলো ৭ দিনের বন্ধ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু গরম এবং তাপমাত্রা না কমায় সেটি বাড়িয়ে আগামী ২ মে তারিখ পর্যন্ত করা হয়েছে।
গতকাল বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি জেলায় আবহাওয়ার তাপমাত্রা ছিল ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে। শুধুমাত্র গতকালই ঢাকার তাপমাত্রা ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেয়েছে। আগামী কয়েক দিন এই তাপমাত্রা ও তাপ প্রবাহ বহাল থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এছাড়া প্রতিদিন হিটস্ট্রোকে মানুষ মৃত্যু ছাড়াও অনেক মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছে। সেই সাথে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে খামারীরা।
সারা দেশে হিট স্ট্রোকে সর্বোচ্চ মৃত্য
সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা যায়, হিট স্ট্রোকে মারা যাওয়া মানুষগুলোর মধ্যে রয়েছে ঢাকার যাত্রাবাড়ী এলাকার মোঃ সেলিম। তিনি অটোরিক্সা করে কাওরান বাজারে যাচ্ছিলেন। এছাড়াও একজন কৃষক যিনি ক্ষেত চাষ করছিলেন, প্রচন্ড গরমে হিট স্ট্রোক করে তিনি তাৎক্ষণিকভাবে মারা যান। মুস্তাক আহমেদ নামে একজন মাদ্রাসার শিক্ষক স্কুলে যাওয়ার পথে মারা যান। এছাড়া গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় আরেকজন স্কুল শিক্ষিকা হাবিবা রিক্তা তিনিও হিট স্ট্রোকে মারা যান। এছাড়া আরো নানা পেশার এবং শ্রেণীর মানুষজন তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়ে মৃত্যুর দিকে ঢলে পড়ছে।
হিট স্ট্রোকে শুধু যে মানুষ মারা যাচ্ছে তাই নয়। সেই সাথে গবাদি পশু যেমন, গরু, ছাগল ও মুরগির সহ নানা ফসলাদীয় বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
কাউন্সিলর চামেলীর ভিডিও
তীব্র গরমে হিট স্ট্রোক থেকে নিজেকে বাঁচাতে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে পারেন। খুব বেশি জরুরী দরকার হলে রোদ উজ্জ্বল আবহাওয়া বা রাস্তাঘাট এড়িয়ে চলতে হবে। কিছুক্ষণ পর পর বিশুদ্ধ পানি পান করতে পারেন। তবে কোনোভাবেই অতিরিক্ত ঠান্ডা পানি কিংবা রাস্তার পাশের শরবত খাবেন না। বাইরে বের হলে অবশ্যই এর সঙ্গে ছাতা নিয়ে বের হবেন। এতে করে আপনার হিট স্ট্রোক বা গরমে অসুস্থ হওয়ার হাত থেকে কিছুটা নিজেকে রক্ষা করতে পারবেন।
