শুরু হয়ে গেছে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী ২০২৪ উদ্বোধন করেছেন। দুগ্ধ ও পোল্ট্রি খামারীদের উৎসাহিত করার জন্য মূলত এই ধরনের আয়োজন করা হয়ে থাকে। আজ ১৮ই এপ্রিল বৃহস্পতিবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে পুরাতন বাণিজ্য মেলার মাঠে এই অনুষ্ঠানটি উদ্বোধন করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করার পর এর প্রদর্শন এগুলো ঘুরে ঘুরে দেখেন তিনি।
দর্শনার্থীরা চাইলে প্রতিদিন সকাল ১০ থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত প্রদর্শন এটি উপভোগ করতে পারবেন। দুই দিনব্যাপী প্রদর্শনীটির শেষ হবে শুক্রবার। বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় করতে আয়োজিত এই মেলায় প্রবেশ করতে কোনরকম ফি বা টাকা নেওয়া হবে না।
প্রাণিসম্পদ ও সেবা সপ্তাহকে প্রাণবন্ত করতে সারা দেশ থেকে পোল্ট্রি ও ডেইরি খামারিরা তাদের গবাদি পশু পাখি নিয়ে যোগ দিয়েছেন। এই মেলায় সর্বমোট ২৫ টি প্যাভিলিয়ন ও ৩০ টি স্টল রয়েছে। যার মধ্য সরকারের পক্ষ থেকে প্যাভিলিয়ন রয়েছে ৭ টি।
প্রদর্শনীর আয়োজকরা জানান, এখানে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে মোট ৩ হাজারের বেশি কৃষক যোগ দিয়েছেন। এর মাধ্যমে প্রান্তিক পর্যায়ে কৃষকরা বিভিন্ন বড় বড় কোম্পানিগুলোর সাথে কাজ করার সুযোগ পাবে। ফলে আর্থিক ভাবে লাভবান হওয়ার পাশাপাশি ভালো একটি ব্যবসায়িক পরিবেশ ও তৈরি হবে।
প্রাণী সম্পদ সেবা সপ্তাহ
আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা প্রোটিনের স্থানীয় চাহিদা মেটাতে বেসরকারি উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি আরো বলেন, গভীর সমুদ্র হতে সম্পদ আহরণের উপর আমাদের গুরুত্ব দিতে হবে। আমাদের রয়েছে বিশাল এক সমুদ্রসীমা। তবুও এই সেক্টর হতে তেমন কোনো সম্পদ আহরণ করতে সক্ষম হয়নি। এই সেক্টরে তেমন কোনো উদ্যোক্তা পাওয়া যাচ্ছে না।
বাংলাদেশ সরকারের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে খাদ্যে নিরাপত্তা এবং পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। এ সময় তিনি কৃষিখাতে ভর্তুকিন কথা উল্লেখ করেন। এছাড়া কৃষিখাতে গবেষণা বাড়ানোর গুরুত্বের ব্যাপারে তিনি আলোচনা করেন। প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহে অনুষ্ঠানে সভাপতি হিসেবে ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মোঃ আব্দুর রহমান।
আজকের বৃষ্টির আবহাওয়া খবর
পানির সম্পদ ও সেবা সপ্তাহের প্রদর্শনীতে বিভিন্ন রকম সচেতনতামূলক কার্যক্রম করা হয়। যেমন: ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা রক্ষা করা, নিরাপদ খাদ্যসামগ্রী প্রস্তুত ও প্রক্রিয়াজাতকরণ কিভাবে করা যায়, খাদ্য সংরক্ষণ কিভাবে করতে হয়, খাদ্যের বিশুদ্ধতা নিশ্চিতকরণ ইত্যাদি।