দুদিনের সফরে ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির

আজ ২২ এপ্রিল সোমবার বিকেলে ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি। তিনি দুদিনের সফরে ঢাকায় আসছেন। বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রায় ২ দশক পর কাতারের কোন আমির ঢাকা সফর করছেন।

কাতারের আমের শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির ঢাকা সফর দুই দেশের সম্পর্কে ক্ষেত্রে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ হবে। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মধ্যেও কাতার মধ্যস্থতাকারী হিসেবে বেশ পরিচিতি অর্জন করেছে। শেখ তামিমের ঢাকা সফরের অন্যতম আলোচনার বিষয় হচ্ছে, মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মধ্যে অস্থিতিশীলতা অর্জন এবং ইরান ইসরাইলের মাঝে সংখ্যা।

কাতারের আমিরের ঢাকা সফরকে কেন্দ্র করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এ কর্মকর্তা বলেন, আমির শেখ তামিমের সফরে ১৩ কে চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক রেডি করে রাখা হয়েছে। এই চুক্তিগুলোর মধ্য থেকে ১০ টি হয়তো সই হতে পারে। প্রস্তুত করে রাখা স্মারক গুলোর মধ্য থেকে হয়তো কোন কিছু বাদ হতে পারে অথবা নতুন করে কোন কিছু যুক্ত হতে পারে।

প্রস্তুত করে রাখা স্মারক গুলোর মধ্যে রয়েছে, বাংলাদেশে ব্যবসায় এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধি, কর প্রত্যাহার, বন্দীদের বিনিময়, শুল্ক ইত্যাদি। এছাড়াও রয়েছে, এদেশ থেকে কাতারে জনশক্তি রপ্তানি, ধর্মীয়ে ব্যাপারগুলোতে সহোযোগিতা, উচ্চশিক্ষা গ্রহনে সহযোগিতা ও কূটনীতিক বিষয়ে প্রশিক্ষণ।

দুদিনের সফরে ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির

বাংলাদেশ এর আগে ভারত থাইল্যান্ডের সাথে বন্দী বিনিময় চুক্তি করেছিল। এরপর কাতারের সাথে একই বন্ধু বিনিময় চুক্তি করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। বাংলাদেশ থেকে কাতারে অবস্থান করা ১০০ জনের বেশি নাগরিক নানা অপরাধে সাজা ভোগ করছেন। বন্দি বিনিময় চুক্তি সম্পন্ন হলে দণ্ডিত ব্যক্তিরা সাজার বাকি অংশ বাংলাদেশ থেকে ভোগ করবেন।

বন্দী বিনিময়ের চুক্তির ব্যাপারে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা জানান, এ ব্যাপারে দুই দেশের মধ্যে বোঝাপড়া হয়েছে। প্রতিনিয়ত এ ব্যাপারে কাজ করছে কাতারে অবস্থিত বাংলাদেশি দূতাবাস। এই চুক্তিটি সম্পন্ন হলে সেটি ঢাকার জন্য বেশ লাভজনক হবে।

এছাড়া গত বছরের মার্চ মাসে বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা সহযোগিতার একটি বিষয়ে কাতারের সাথে চুক্তি হয়েছে। তবে সেটি এখনো কার্যকর হয়নি। কাতারের আমির বাংলাদেশ সফরের ফলে সে ব্যাপারে আলোচনা হতে পারে। এই চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর সদস্যরা কাতারে কাজ করতে পারবেন।

তাপ প্রবাহের কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ

কাতার আমিরের ঢাকা সফরকে কেন্দ্র করে আরও বেশ কিছু প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আশা করি এই সফরের ফলে দুই দেশের মধ্যেও পারস্পরিক সহযোগিতামূলক সম্পর্ক আরো বৃদ্ধি পাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *