ইসরাইল ইরানের হামলা

ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গত শনিবার রাতে ইসরাইলের ভূখন্ডে প্রায় ৩০০ টির বেশি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে তেহরান।

এদিকে ইরানি সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে, দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে হামলার প্রতিক্রিয়া হিসেবে এই বোমা হামলা তারা চালিয়েছে।

তবে কনস্যুলেটে হামলার কথা এখন পর্যন্ত স্বীকার করে নেই ইসরাইল। তবে এর পেছনে তাদের অবশ্যই হাত রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এদিকে ইসরাইল দাবি করছে, গত শনিবারের ড্রোন হামলার ৯৯ ভাগে তারা রুখে দিতে পেরেছে। ইরান যে সকল ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ইসরাইলের দিকে ছুড়েছে সেগুলোর বেশিরভাগই যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও জর্ডানের সহযোগিতা নিয়ে তারা নিষ্ক্রিয় করতে সক্ষম হয়েছে। যদিও এই হামলায় শতভাগ সফল বলে ইরান দাবি করে আসছে।

ইরান ইসরাইলের উপর হামলায় ধীর গতি সম্পন্ন ড্রোন ব্যবহার করে। সেই সাথে তারা কিছু দ্রুতগতির ক্রুজ ও উচ্চগতির ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পাঠিয়েছিল।

ইরান যে ইসরাইলের ভূখণ্ডে হামলা করবে সে ব্যাপারটি বেশ কিছুদিন আগে থেকেই জানা গিয়েছিল। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হুসাইন আমির আব্দুল্লাহিয়ান সাংবাদিকদের বলেন, আমরা আমাদের প্রতিবেশী দেশগুলোর আকাশ সীমাকে সুরক্ষিত রাখতে আগেই সতর্ক করে দিয়েছিলাম। হামলার ব্যাপারে অন্তত ৩ দিন আগে তারা সতর্ক করেছিল।

ইসরাইল ইরানের হামলা

ইসরায়েলের পক্ষের দেশগুলো হামলার ব্যাপারে আগেই সতর্ক করেছিলো। আমেরিকান ভিত্তিক একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বলা হয়, ইরানের এই হামলার লক্ষ্য ছিল ইসরাইলের ক্ষয়ক্ষতির সাধন করা। কিন্তু সেই উদ্দেশ্য পুরোপুরিভাবে সফল হয়নি। যেটি ইরানের সামরিক বিশ্বাসযোগ্যতার দিকটি কে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, তারা প্রায় ৭০ টি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র আকাশে থাকা অবস্থায় ধ্বংস করেছে। আর জর্ডান তা আকাশীমা থেকে ৩০/৩৫ টি ড্রোন ধ্বংস করেছে। এমনটি প্রচার করা হচ্ছে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে। ইসরাইলে ইরানের হামলা চালাতে যে অর্থ ব্যয় হয়েছে, সেটি ঠেকাতে ইসরাইলের তার চাইতে প্রায় ৯৮ গুণের বেশি অর্থ খরচ হয়েছে।

দ্যা ক্রাডল বলেছে, ইরানের এই হামলা প্রতিরোধ করতে অন্যান্য দেশের সহযোগিতা বাদেই শুধুমাত্র ইসরাইলের খরচ হয়েছে প্রায় ১৩৫ কোটি ডলার। এদিকে লেবাননের হিজবুল্লাহ সংস্থা জানায়, তারা ইসরাইলের একটি সামরিক ঘাঁটিতে বেশ কয়েক দফায় রকেট হামলা চালিয়েছে। এর পাশাপাশি ইরাক, সিরিয়া ও ইয়েমেন থেকেও মিসাইল এবং ড্রোন ইসরাইলের উদ্দেশ্যে নিক্ষেপ করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *