সামনেই আসছে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আযহা। ঈদুল আযহাকে কেন্দ্র করে মুসলমানরা পশু কুরবানি দিয়ে থাকে। যেহেতু ঈদুল আযহার খুব বেশি দেরি নেই তাই ইতিমধ্য কুরবানির পশু কেনা বেচার বাজার বেশ জমে উঠছে।
কুরবানি যেহেতু আল্লাহর নামে দেয়া হয় তাই এক্ষেত্রে সবাই চায় একটি সুস্থ এবং সবল পশু কোরবানি দেওয়া। সেই সাথে এই কুরবানির পশুর ওপরে আত্মীয়-স্বজন এবং গরিবদের একটি হক থাকে। তাই কুরবানী কবুলের সাথে সাথে এই বিষয়গুলোতে গুরুত্ব দেওয়া একজন মুসলমানের জন্য আবশ্যক।
আমাদের আশেপাশে কুরবানির হাট বাজারগুলোতে দেশি এবং বিদেশি বিভিন্ন রকমের গরু এবং পশু পাওয়া যায়। অনেকেই হয়তো এসব কেনাবেচার ব্যাপারে জানেন না। তাই কিভাবে আপনি একটি কুরবানির জন্য সুস্থ এবং সবল পশু কিনতে পারেন তার জন্য কিছু টিপস আপনাদের সাথে শেয়ার করব।
সুস্থ ও সকল পশুদের বৈশিষ্ট্য সাধারণত যে রকম হয়:
• পশু সাধারণত চঞ্চল হবে। নিস্তেজ হয়ে থাকা সাধারণত অসুস্থতার লক্ষণ।
• পশুগুলোর দিকে লক্ষ্য করলে দেখবেন সেগুলো খুব সুন্দর ভাবে জাবর কাটছে।
• গরু, ছাগল কিংবা মহিষের নাকের উপর হালকা ভেজা ভেজা ভাব থাকবে।
• উক্ত পশুর চামড়া হবে খুবই টানটান, সেই সাথে পিঠের কুজো বেশ মোটা এবং টানটান থাকবে।
• পশুর দিকে ভালো করে লক্ষ্য করলে দেখবেন পশুটি আশেপাশের সব ব্যাপারে বেশ ভালো নজর রাখছে, তার চোখগুলো উজ্জ্বল দেখাবে। পশুটি সব সময় টান এবং তার লেজ নাড়াচাড়া করতে থাকবে।
• একটি সুস্থ ও স্বাভাবিক পশু অবশ্যই পায়খানা এবং প্রস্রাব স্বাভাবিকভাবে করবে।
কুরবানির পশু কিনতে হবে যেভাবে
বাজার থেকে কোরবানির পশু কেনার আগে যে বিষয়গুলি অবশ্যই খেয়াল রাখবেন:
• যদি কোন গরু কিংবা মহিষের বয়স ২ বছরের কম হয় তাহলে সেটি কোনভাবেই কোরবানির জন্য কেনা যাবে না। পশুটির বয়স সম্পর্কে ধারণা পাওয়ার জন্য তার দাঁতগুলি দেখতে পারেন।
• আপনি কুরবানির জন্য যে প্রশ্নটি কিনতে যাচ্ছেন সেটির কোন শিং ভাঙ্গা আছে কিনা কিংবা শরীরের অন্যান্য কোন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত আছে কিনা সেটা ভালো করে খেয়াল করে নিবেন। অসুস্থ কিংবা পঙ্গু কোন পশু কুরবানির জন্য কোনভাবেই উপযুক্ত নয়।
• কুরবানির পশুর গায়ে কোথাও কোন ক্ষত চিহ্ন আছে কিনা সেটি দেখে নেবেন।
• অনেক সময় বেশি দামের আশায় গরু বিক্রেতারা মোটাতাজাকরণ ট্যাবলেট বা স্টেরয়েড জাতীয় ইঞ্জেকশন দেয়। এ ধরনের গরুগুলো শান্ত থাকে। কেনার আগে অবশ্যই যাচাই করে নিবেন।
আমাদের যাদের সামর্থ্য আছে তারা অবশ্যই কুরবানি দিব এবং যারা কুরবানি দিতে পারেনি তাদের সাথে কুরবানি এবং ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেব। এতে করে আমরা আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন এবং সমাজে নৈকট্য সৃষ্টি করতে হবে।