ঈদের সবচেয়ে বড় গরু

এবারের ঈদের সবচাইতে বড় গরু কোনটি? এরকম প্রশ্ন আমরা প্রতিবছরই কোরবানির ঈদের আগে শুনতে থাকি।

আর কিছুদিন পরেই আসছে পবিত্র ঈদুল আযহা। এটি মুসলমানদের সবচাইতে বড় ধর্মীয় উৎসব বলা যেতে পারে। ঈদুল আযহা কে কেন্দ্র করে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা আল্লাহর উদ্দেশ্যে পশু কোরবানি দেয়। ঈদকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে পশুর বাজার গুলো বেশ জমজমাট হয়ে উঠছে। কোরবানি উপলক্ষে গুরু এবং পশু কেনাবেচা কে কেন্দ্র করে বেশ আমেজ পূর্ণ পরিস্থিতি বিরাজ করে দেশের সকল অঞ্চলে।

সেই সাথে প্রতিবছরে বিশেষ আলোচনায় থাকে এদের সবচাইতে বড় কোরবানির পশু কোনটি? চলুন জেনে নেই এখন পর্যন্ত দেশের সবচাইতে বড় কোরবানির পশুর তালিকায় কোনটি রয়েছে।

আকৃতি এবং সৌন্দর্য তে নোয়াখালীর কিং গরুটি সবার নজরে আছে। মালিকের দাবি সেটি এখন পর্যন্ত দেশের সবচাইতে বড় গরু। গরুটিকে কিনতে অনেক কাস্টমার আসছেন সেইসাথে অনেকে আসছেন সরাসরি নিজের চোখে গরুটিকে দেখতে।

ঈদের সবচেয়ে বড় গরু

নোয়াখালীর কিং গরুটি আছে নোয়াখালী জেলার লক্ষীপুরের রায়পুর উপজেলার চর বংশী এলাকায়। এর মালিক হলেন মোঃ উল্লাহ। মোহাম্মদ উল্লাহ পেশায় একজন গরু খামারি। বিগত প্রায় চার বছর আগে একটি বাছুরসহ একটি দুধের গরু কেনেন তিনি। সেই বছরটি এখন ৫৭ মন ওজনের একটি বিশাল আকৃতির গরু। আসন্ন কোরবানি ঈদকে কেন্দ্র করে তিনি এটাকে বিক্রি করতে চান। তিনি আশাবাদী গরুটি ৪০ লাখ টাকায় বিক্রি করতে পারবেন। এটি হতে পারে ঈদের সবচাইতে বড় গরু।

নোয়াখালীর মোঃ উল্লাহ প্রায় সাত বছর আগে বিসমিল্লাহ ডেইলি ফার্ম নামে একটি গরুর ফার্ম প্রতিষ্ঠা করেন। শুরুতে তিনি প্রায় আড়াই লাখ টাকা দিয়ে একটি ফ্রিজিয়ান জাতের দুধের গরু কিনেন এবং সেই সাথে কিনে একটি চার দিন বছর বয়সী বাছুর। সেই বছরটি এখন বিশাল আকৃতির হাওয়ায় সেটাকে নাম দিয়েছে নোয়াখালীর কিং।

এলপিজি গ্যাসের দাম কত

আমরা জানি কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন ব্যবসায়ীরা অধিক লাভের আশায় গরুকে মোটাতাজাকরণ ওষুধ খাওয়ানো হয়। যেটি একই সাথে গরুর জন্য এবং মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর। আসন্ন ঈদকে কেন্দ্র করে মোঃ উল্লাহ বলেন আমি এ ধরনের কোন কিছু ব্যবহার করি না। ঈদের সবচাইতে বড় গরুটিকে আমি খুব যত্নের সাহায্যে লালন পালন করেছি। সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক খাবার যেমন কাঁচা ঘাস, খড় কিংবা ভাতের মার এ ধরনের খাবার আমি গরুদের খাওয়াই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *