কাজ কিংবা পড়ালেখার জন্য আমরা অনেকেই বাইরে যেতে চাই। লেখাপড়া হোক কিংবা কাজের জন্য হোক কাতার দেশটি অনেকের পছন্দের তালিকায় রয়েছে। আমার কাছে অনেকে প্রশ্ন করে জানতে চেয়েছেন কাতার যাওয়ার সহজ উপায় সম্পর্কে। আপনি যদি কাতার যাওয়ার চিন্তা-ভাবনা করে থাকেন তাহলে পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
কি কি উপায়ে আপনি কাতারের ভিসা পেতে পারেন?
নিম্নোক্ত কয়েকটি উপায়ে আপনি কাতারের ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন।
১. কাজের জন্য কিংবা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা
২. লেখাপড়ার জন্য স্টুডেন্ট ভিসা
৩. ঘুরতে যাওয়ার জন্য টুরিস্ট ভিসা
৪. কাতার ফ্যামিলি ভিসা।
আপনি উপরোক্ত যে ভিসাতে কাতারে যেতে চান না কেন আপনাকে নির্দিষ্ট কিছু কাগজপত্র অবশ্যই প্রয়োজন হবে। সেগুলোর মধ্যে রয়েছে, জাতীয় পরিচয়পত্র, কাতারের পাসপোর্ট ও ভিসা, কাজের জন্য যেতে চাইলে ওয়ার্ক পারমিট, লেখাপড়ার জন্য যেতে চাইলে স্কলারশিপ সার্টিফিকেট, নাগরিক সনদপত্র ইত্যাদি। এছাড়াও কাতারের ভিসার জন্য আবেদনকারীর পাসপোর্ট সাইজের ছবি, ব্যাংক স্টেটমেন্ট, বিমানের টিকিট ইত্যাদি।
কাতারের ভিসার দাম কত?
আমাদের অনেকের কাতার যাওয়ার ইচ্ছে থাকলেও এর ভিসা সম্পর্কে বা দাম সম্পর্কে খুব একটা ধারণা থাকে না। ভিসার বাজেট না জেনেই আমরা প্রস্তুতি শুরু করে দেই। কাতারের ভিসার দাম সাধারণত ৪ লক্ষ থেকে ৫ লক্ষ টাকা হয়ে থাকে। তবে আপনি যদি ভালো কোন এজেন্সি বা পরিচিত কোন লোকের মাধ্যমে দিতে চান তাহলে ভিসার দাম আরো কম লাগতে পারে। আবার অনেক সময় সরকারিভাবে ও কাতারে লোক পাঠানো হয়, সরকারিভাবে কাতারের ভিসা একদম কম টাকায় পাওয়া যায়।
কাতার যাওয়ার সহজ উপায়
ভিসা ছাড়াও কাতারে যাওয়ার জন্য বিমানের টিকেট ও হোটেল ভাড়া সহ বেশ কিছু অতিরিক্ত খরচ হয়েছে।
কাতারের ভিসা পাওয়ার জন্য কত বয়স হতে হয়?
আপনি যদি বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী একজন প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিক অর্থাৎ বয়স ১৮ বছর কিংবা তার উপরে হয়ে থাকে তাহলে আপনি কাতারের ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে আপনি যদি স্টুডেন্ট বা টুরিস্ট ভিসায় যেতে চান তাহলে বয়স কম কিংবা বেশি সেটি কোন প্রভাব ফেলে না।
কতদিনের মধ্যে পাসপোর্ট পাওয়া সম্ভব
পৃথিবীর মানচিত্রে কাতার একটি সৌন্দর্য সমৃদ্ধ এবং শান্তিপূর্ণ দেশ। কাতারের এক রিয়েলের দাম বাংলাদেশে প্রায় ৩০ টাকার উপরে। ভালো কাজের বিষয় কাতার যেতে পারলে বেশ টাকা আয় করা যায়।