মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জাপান ও ভারতকে জেনোফোবিক বলে সম্বোধন করেছেন। এর মানে হচ্ছে বিদেশি বা বাইরে থেকে আসা অভিবাসীদের প্রতি নেগেটিভ বা ভীতিকর মনোভাব। অবশ্য মার্কেট প্রেসিডেন্ট বা ইডেনের এই মন্তব্যের মাধ্যমে তিনি কোন দেশের অপরাধের বিষয়গুলো নিয়ে ইঙ্গিত দেননি। এমনটি জানানো হয়েছে হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে।
আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা বিবিসির একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যো বাইরে মূলত ভারত ও জাপানকে রাশিয়া এবং চীনের সাথে একত্রিত করে এমন দেশের তালিকা ভুক্ত করেছেন যেটি মূলত অধিবাসীরা প্রত্যাশা করে না।
উক্ত প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার আমেরিকার রাষ্ট্রীয় শহরের পরপরই এমন মন্তব্য করেছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্টের এমন মন্তব্যের পর রাশিয়া, চীন, জাপান ও ভারতের মার্কিন দূতাবাসগুলোতে যোগাযোগ করেছে বিবিসি। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন জবাব পাওয়া যায়নি। তবে জো বাইডানের এই মন্তব্যের বিপরীতে মার্কিন পর্যবেক্ষকদের সমালোচনা গুলো সামনে আসছে।
ভারত এবং জাপানকে জেনোফোবিক বললেন বাইডেন
যেমন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্টের উপসহকারী প্রতিরক্ষা মন্ত্রী এলব্রিজ কোলবি জানান, ভারত ও জাপান আমেরিকার দুটি শক্তিশালী বন্ধু রাষ্ট্র। তাদের ব্যাপারে সম্মানের সাথে কথা বলা উচিত। এতোটুকু সম্মান তাদের প্রাপ্য। এই বক্তব্য দ্বারা আমাদের মিত্রদের প্রতি সংকীর্ণতা প্রকাশ পেয়েছে। তবে জো বাইডেন কোনরকম অপমানজনক মন্তব্য করেননি এমনটা দাবি করা হচ্ছে হোয়াইট হাউস থেকে।
তাছাড়া ও মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তার প্রধান কর্মকর্তা জন কিরবি মন্তব্য করেছেন, আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র গুলো খুব ভালোভাবে জানেন তাদেরকে সহযোগিতার পাশাপাশি প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন কতটা মূল্যায়ন এবং গুরুত্ব করেন। তাদের বন্ধুত্বের যথেষ্ট সম্মান আমাদের আছে। প্রেসিডেন্ট কিভাবে তাদেরকে মূল্যায়ন করবেন সেটিও তারা খুব ভালোভাবে জানেন। এছাড়া বাইরে জোট এবং অংশীদারিত্বের বিষয়গুলিকে খুব ভালোভাবে গুরুত্ব দেন।
আমেরিকার ওয়াশিংটন ডিসি ভিত্তিক একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের বিশেষজ্ঞ সদানন্দ ধুম বিবিসিকে জানান, ভারত এবং জাপানের ব্যাপারে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মন্তব্য সম্ভবত খারাপ ভাবেই গ্রহণ করা হবে। এর কারণ হচ্ছে দেশটি একটি জাতীয়তাবাদী উত্থানের অনুভব করছে। তাছাড়া এই মন্তব্যটি ভারতের অনেক লোকদের মধ্যে এই ধারণা প্রবেশ করাবে যে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তাদের প্রতি ততটাও বন্ধুত্বপূর্ণ নয়। ভারতবাসীরা নিজেদেরকে চীনের সাথে একই কাতারে নিজেদের দাঁড় করানোকে নিঃসন্দেহেই নেতিবাচক হিসেবে দেখবে।